কাজী নজরুল ইসলামের “বিদ্রোহী” কবিতাটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম বিখ্যাত রচনা, যেখানে বিদ্রোহের চেতনা এবং অপরাজেয় মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে। নিচে “বিদ্রোহী” কবিতা থেকে ১৫টি উক্তি দেওয়া হলো:
“আমি চির-বিদ্রোহী বীর—বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির-উন্নত শির!”
“বল বীর—বল উন্নত মম শির!”
“আমি ঝড়ের মতো তেড়িয়া আসি, আমি বজ্রের মতো করি গর্জন!”
“আমি দাবানল, আমি বন-পোড়া অগ্নি—জ্বলন্ত পাষাণলেলিহান শিখা!”
“আমি বেদুইন, আমি চেঙ্গিস, আমি আপনারে ছাড়ায়ে করি বিষণ্ণ পৃথিবীর পাশে!”
“আমি ফণা তোলা কালবোশেখি, আমি খরার বুকে উন্মত্ত সাগর!”
“আমি চঞ্চল, আমি অপ্রতিরোধ্য, আমি দুর্বিনীত ভৃগু-তপ্ত!”
“আমি শস্য-ক্ষেত্রের ফসল-দাহক কাল-বৈশাখী ঝড়!”
“আমি ধূমকেতু, আমি বিদ্রোহী ভৃগু, আমি ব্যর্থ প্রাণের অভিশাপ!”
“আমি শ্মশান-কঙ্কাল-কাপালিক—তান্ত্রিকের রুদ্রকর্ম!”
“আমি চির-আহ্বান, আমি সংকল্পের অঙ্গীকার!”
“আমি অগ্নি-শিখা, আমি বীণা-বিনাশী, আমি আপন হাতেই করি মলিন পৃথিবীর সাজা!”
“আমি আকাশে ঝড় তুলিয়া পাগল করা ধ্বনি, আমি পথিকের দিশা হারানো প্রলয় বেগ।”
“আমি উন্মাদ, আমি ঝঞ্ঝার মতো করি আঘাত!”
“আমি সাগরের ঢেউ, আমি মাতাল তুফান, আমি বিধ্বংসী উচ্ছ্বাস!”
এই লাইনগুলোতে বিদ্রোহী চেতনা এবং শক্তির জয়গান প্রকাশিত। কবিতাটি একজন মানুষকে অভিভূত ও উজ্জীবিত করে, মানুষের মাঝে স্বপ্ন এবং সাহস সঞ্চার করে।