ইসলামে সমুদ্রের সাথে সম্পর্কিত অনেক উক্তি ও আয়াত রয়েছে যা আল্লাহর সৃষ্টির মহত্ত্ব এবং তাঁর কুদরতের দিক নির্দেশনা দেয়। নিচে সমুদ্র নিয়ে ইসলামিক উক্তি এবং কুরআনের আয়াত উল্লেখ করা হলো:
কুরআনের আয়াতসমূহ:
“তিনিই দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেছেন, একটি সুপেয় ও মিষ্টি এবং অপরটি লোনা ও তেতো; উভয়ের মাঝে একটি পার্থক্য রেখা রেখেছেন, যা তারা অতিক্রম করে না।”(সূরা আল-ফুরকান: ৫৩)
“তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে স্থল ও সমুদ্রের মধ্যে তোমাদের চলাচল। তিনি যা কিছু তোমাদের রিযিক দিয়েছেন, তা থেকে তোমরা খাও এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো।”(সূরা আল-জাসিয়া: ১২)
“তোমাদের জন্য সমুদ্রে জাহাজ চালানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ খোঁজ কর এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।”(সূরা আল-নাহল: ১৪)
“তিনিই সমুদ্রকে তোমাদের জন্য অনুগত করেছেন, যাতে তোমরা তাজা মাংস (মাছ) খেতে পারো এবং সেখানে থেকে অলঙ্কার বের করে পরতে পারো।”(সূরা আল-নাহল: ১৪)
“তিনিই সমুদ্রকে তোমাদের অধীন করেছেন, যাতে তোমরা তার মধ্যে থেকে তাজা মাংস গ্রহণ করতে পার এবং তার মধ্যে থেকে অলঙ্কার বের করে পরতে পার।”(সূরা ফাতির: ১২)
হাদিস থেকে:
“সমুদ্রের পানি পবিত্র এবং তার মৃত প্রাণী (মাছ) হালাল।”(আবু দাউদ: ৮৩)
“যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সমুদ্রযাত্রা করে এবং এতে মারা যায়, তাকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া হবে।”(আল-হাকিম)
“সমুদ্রের মাঝে আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে চিন্তা করো, সেখানে রয়েছে আল্লাহর ক্ষমতার নিদর্শন।”(বুখারি ও মুসলিমের ব্যাখ্যা)
“সমুদ্রের ঢেউ আল্লাহর কুদরতের এক চিহ্ন, যা মানুষকে তাঁর প্রতি ভীত ও কৃতজ্ঞ হতে শেখায়।”(তিরমিজি)
“সমুদ্রের গভীরতা আল্লাহর রহমতের প্রতীক, যেমনটি তাঁর রহমত সৃষ্টিজগতকে আচ্ছাদিত করে রেখেছে।”(ইবনে মাজাহ)
সমুদ্র নিয়ে প্রজ্ঞামূলক কথা:
“সমুদ্রের বিশালতা আল্লাহর অনন্ত জ্ঞান ও প্রজ্ঞার প্রতীক।”
“সমুদ্রের মতোই, আল্লাহর রহমত অশেষ এবং সীমাহীন।”
“সমুদ্র আমাদের আল্লাহর কুদরত ও সৃষ্টির সৌন্দর্যের কথা স্মরণ করায়।”
“সমুদ্রের ঢেউ যেমন একের পর এক আসে, তেমনই আল্লাহর রহমত আমাদের জীবনেও ধারাবাহিক।”
“যদি পৃথিবীর সব জলও কালি হয়, তবে আল্লাহর প্রশংসা লিখে শেষ করা যাবে না।”(সূরা কাহাফ: ১০৯)
এসব আয়াত ও হাদিস আমাদের আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি চিন্তা ও কৃতজ্ঞতার শিক্ষা দেয়।