কষ্ট বা বিপদ ইসলামে পরীক্ষা ও আল্লাহর রহমতের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হয়। কষ্ট ও বিপদের সময়ে ধৈর্য, আল্লাহর প্রতি আস্থা, এবং তাঁর নিকট সাহায্য চাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে কষ্ট নিয়ে ৪০টি ইসলামী উক্তি দেওয়া হলো:
“নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।” – আল-কুরআন (৯৪:৬)
“আল্লাহ কাউকে তার সহ্যক্ষমতার চেয়ে বেশি কষ্ট দেন না।” – আল-কুরআন (২:২৮৬)
“যে ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তার পুরস্কারকে সীমাহীন করে দেন।” – আল-কুরআন (৩৯:১০)
“কষ্টকে ধৈর্যের সাথে মোকাবেলা করো, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” – আল-কুরআন (২:১৫৩)
“যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট।” – আল-কুরআন (৬৫:৩)
“কষ্টের পরই আসে স্বস্তি, আর রাতের পর আসে দিন।” – হাদিস
“কোনো কষ্ট আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া আসে না।” – আল-কুরআন (৬৪:১১)
“যদি আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেন, তবে কেউ তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না।” – আল-কুরআন (৩:১৬০)
“আল্লাহ তাদেরকে কষ্ট দেন, যাদের জন্য তিনি ভালো কিছু চান।” – হাদিস
“কষ্ট পেলে আল্লাহর দিকে ফিরে আসো, তিনি তোমার কষ্ট দূর করবেন।” – হাদিস
“যে ব্যক্তি কষ্টের সময় আল্লাহর দিকে ফিরে আসে, আল্লাহ তার জন্য সবসময় একটি পথ বের করে দেন।” – হাদিস
“কষ্টে ধৈর্যধারণকারীদের জন্য রয়েছে অপার পুরস্কার।” – আল-কুরআন (২:১৫৫)
“তোমরা যখন কষ্টে পড়বে, তখন আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করো, নিশ্চয়ই তিনি তোমাদের দোয়া কবুল করবেন।” – আল-কুরআন (৪০:৬০)
“আল্লাহ তাঁর বান্দার জন্য যা কিছু নির্ধারণ করেন, তা তার কল্যাণের জন্য।” – হাদিস
“মুমিনের জীবনে যে কোনো কষ্টই তার পাপের কাফফারা।” – হাদিস
“আল্লাহ মুমিনদের কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন, যাতে তাদের ঈমান আরও দৃঢ় হয়।” – হাদিস
“ধৈর্যশীলদের জন্য রয়েছে জান্নাতের সুসংবাদ।” – আল-কুরআন (২৫:৭৫)
“কষ্টের পরই আসে আল্লাহর রহমত।” – হাদিস
“যখন তোমরা কষ্টে থাকবে, তখন আল্লাহর কাছে ধৈর্যশীল হও, নিশ্চয়ই তিনি তোমাদের সাহায্য করবেন।” – হাদিস
“আল্লাহ যার জন্য মঙ্গল চান, তাকে কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন।” – হাদিস
“যে ব্যক্তি কষ্টে ধৈর্য ধারণ করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ স্থান দেবেন।” – হাদিস
“আল্লাহ মুমিনদের পরীক্ষা করেন, যাতে তারা তাদের গুনাহ থেকে মুক্তি পায়।” – হাদিস
“যে কোনো বিপদে আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো, তিনি সবকিছু দেখছেন।” – হাদিস
“আল্লাহ যাকে কষ্ট দেন, তার জন্য তিনি উত্তম কিছু পরিকল্পনা করেন।” – হাদিস
“যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য ধৈর্য ধরে, আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করবেন।” – হাদিস
“আল্লাহর পথে যারা ধৈর্যশীল, তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কার।” – হাদিস
“যখন তুমি কষ্টে পড়বে, তখন ধৈর্য ধরো, আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করবেন।” – হাদিস
“আল্লাহ তার বান্দাদের কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন, তবে তিনি তাদের ওপর রহম করেন।” – হাদিস
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কষ্ট সহ্য করে, সে আখিরাতে পুরস্কৃত হবে।” – হাদিস
“আল্লাহর নিকট কষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে গ্রহণ করা সবচেয়ে প্রিয়।” – হাদিস
“মুমিনদের জীবন কখনোই নিঃস্ব হয় না, কষ্টের মধ্যে তারা আল্লাহর রহমত খুঁজে পায়।” – হাদিস
“আল্লাহর কাছ থেকে ধৈর্যই হলো কষ্টের সবচেয়ে বড় সমাধান।” – হাদিস
“কষ্টে থাকলেও আল্লাহর রহমতের প্রতি বিশ্বাস রাখো।” – হাদিস
“ধৈর্য হলো ঈমানের অর্ধেক, আর ঈমান হলো আল্লাহর প্রতি আস্থা রাখা।” – হাদিস
“যে ব্যক্তি কষ্টের সময় ধৈর্য ধরে, আল্লাহ তাকে স্বস্তি দেবেন।” – হাদিস
“কষ্টের মধ্যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও, কারণ তিনি তোমার মঙ্গল চান।” – হাদিস
“আল্লাহ কোনো কষ্ট দেন না, যদি না তিনি তার উত্তম পুরস্কার দিতে চান।” – হাদিস
“কষ্ট পেলে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো, তিনি নিশ্চয়ই তোমাকে সাহায্য করবেন।” – হাদিস
আরো পড়ুন: ইসলামিক শিক্ষামূলক উক্তি
“আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন এবং তাদের প্রতি অনুগ্রহ করেন।” – হাদিস
“যে কোনো বিপদে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো, তিনি তোমার জন্য সর্বদা উপস্থিত।” – হাদিস
এই উক্তিগুলো আল্লাহর প্রতি আস্থা, ধৈর্য, এবং কষ্টের সময়ে কীভাবে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করতে হবে তা শিখিয়ে দেয়। এগুলো মুসলিমদের মানসিক ও আধ্যাত্মিক শক্তি যোগায়, যাতে তারা কষ্টের মুহূর্তে আল্লাহর রহমতের প্রতি বিশ্বাস রাখে।