ইসলামে প্রতিশোধ নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা ও উপদেশ মূলত ক্ষমাশীলতা, ধৈর্য, এবং সহনশীলতার উপর জোর দেয়। নিচে প্রতিশোধ ও ক্ষমা সংক্রান্ত ১৫টি ইসলামিক উক্তি তুলে ধরা হলো:
এখানে আপনি পাবেন:
কুরআন থেকে:
“যারা ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল থাকে; আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন।”(সূরা আলে ইমরান, ৩:১৩৪)
“মন্দের প্রতিফল ভালো দ্বারা প্রতিহত করো। দেখবে, তোমার শত্রু তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো হয়ে গেছে।”(সূরা ফুসসিলাত, ৪১:৩৪)
“যদি শাস্তি দাও, তবে সমানভাবে দাও। কিন্তু যদি ধৈর্য ধরো, তবে তা অবশ্যই উত্তম।”(সূরা আন-নাহল, ১৬:১২৬)
“যারা অন্যায়ের শিকার হয় এবং তারপরও ক্ষমা করে, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় পুরস্কার রয়েছে।”(সূরা আশ-শূরা, ৪২:৪০)
“ধৈর্য ও ক্ষমা—এ দুটো নৈতিক গুণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”(সূরা আশ-শূরা, ৪২:৪৩)
হাদিস থেকে:
“সর্বশক্তিমান আল্লাহ ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; সুতরাং তোমরা একে অপরকে ক্ষমা করো।”(সহীহ মুসলিম)
“ক্ষমাশীল ব্যক্তি সেই নয় যে শারীরিক শক্তিশালী, বরং প্রকৃত শক্তিশালী সেই, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।”(সহীহ বুখারি, হাদিস: ৬১১৪)
“যে ব্যক্তি অন্যকে ক্ষমা করে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেন।”(সহীহ মুসলিম)
“ক্ষমাশীলতা ইমানের নিদর্শন। রাগ পোষণ করা নয়, বরং ক্ষমা করা উত্তম।”(তিরমিজি, হাদিস: ২০২৯)
“যদি কেউ তোমার প্রতি অন্যায় করে, তবে তাকে ক্ষমা করো। কারণ, ক্ষমা ক্ষমতাশীলদের শোভা।”(ইবনে মাজাহ)
আরও পড়ুন:
ইসলামী বাণী ও শিক্ষা থেকে:
“প্রতিশোধ শুধু প্রতিশোধের চক্রকে বাড়িয়ে দেয়, কিন্তু ক্ষমা শান্তি নিয়ে আসে।”
“ক্ষমা হল আত্মার মুক্তি। প্রতিশোধ কখনও সত্যিকার ন্যায়বিচার আনতে পারে না।”
“রাগ ও প্রতিশোধ মানুষের অন্তর কালিমাযুক্ত করে, আর ক্ষমা তা নির্মল করে।”
“যদি আল্লাহ প্রতিটি ভুলের প্রতিশোধ নিতেন, তবে দুনিয়ায় কেউ বেঁচে থাকত না। তাই আমরা যেন ক্ষমাশীল হতে শিখি।”
“ক্ষমা করা মানে দুর্বল হওয়া নয়; এটি শক্তিশালী হৃদয়ের একটি গুণ।”
উপসংহার:
ইসলাম ক্ষমাশীলতার উপর গুরুত্ব দিয়ে মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপদেশ দেয়। প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমার মাধ্যমে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠাই ইসলামের আসল উদ্দেশ্য।